ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

মোবাইল ফোন পাচারের আন্তর্জাতিক চক্র আটক, যা জানালেন ডিবির হারুন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৪ ০৪:৩২

আন্তর্জাতিক চক্র আটক, যা জানালেন ডিবির হারুন


বাংলাদেশে আইফোনসহ দামি স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার, আবার ভারত থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানের মাধ্যমে কসমেটিক, শাড়ি ও থ্রি পিস এনে বাংলাদেশে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। এই চক্রের নয়জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমানের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।

গ্রেফতাররা হলেন- ভারতীয় নাগরিক রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস ও বাংলাদেশি নাগরিক মুরাদ গাজী। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ২১টি দামি মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস, শাড়ি, থ্রি পিস, ৫টি ভারতীয় পাসপোর্ট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে মধ্য বাড্ডায় ঘটনাস্থলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বাংলাদেশে দামি মোবাইল ফোন আইফোন, স্যামসাং ফোনসহ অন্যান্য স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করতো। আবার ভারতে চুরি হওয়া কিছু মোবাইল ফোন বাংলাদেশে এনে বিক্রি করত। গতকাল (বুধবার) দিবাগত রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পিল ও জেল বিক্রি করে আসছেন। গ্রেফতাররা স্বীকার করেছেন, জব্দ করা মালামাল কোনোটাই বৈধপথে আনা হয়নি। কলকাতা থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যে আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল করে সেই ট্রেনে করে তারা দীর্ঘদিন ধরে কোনো ট্যাক্স পরিশোধ না করে এই ভারতীয় মালামালগুলো চোরাইপথে বাংলাদেশ আনেন এবং বিক্রি করে থাকেন। গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে ইতোপূর্বে তারা কাপড়ের গাট্টির মধ্যে শত শত চোরাই মোবাইল, শত শত বোতল মদ এবং বিয়ার বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেছে। রমজান মাস ও ঈদের পূর্বে মদ-বিয়ার না এনে, কোনো শুল্ক ও ভ্যাট পরিশোধ না করে অবৈধভাবে শুধু কসমেটিক্স, কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, সেক্স পিল ও জেল এনে তারা মজুত করছিল।

ডিবির হারুন বলেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top