ঢাকা | বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

কারা, কেন, কী কারণে, কোন সুখে বিএনপিকে ভোট দেবে?

সিটি পোষ্ট | প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২১ ০৬:১১

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ তাদের (বিএনপিকে) ভোট দেবে কেন? জনগণ ভোট দিতে পারছে না, এই প্রশ্ন যারা করে, আওয়ামী লীগের বাইরে আর কে আছে? কাকে ভোট দেবে? কার কাছ থেকে মানুষ কী পেয়েছে? ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত মানুষ কী পেয়েছে? সে তুলনা করে বিবেচনা করেন। ক্ষমতা আমার কাছে ভোগের বস্তু না। শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ক্ষমতা না। ক্ষমতায় গেলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে।’


করোনার মধ্যেও ভোটাররা নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। নির্বাচন যেন ঠিকভাবে না হয়, মানুষ যেন অংশ না নেয়, সে জন্য অগ্নিসন্ত্রাস থেকে হেন কোনো কাজ নেই, যা করা হয়নি। তারপরেও নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের পরে স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল বলেই আজ যত উন্নয়ন, তা করা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা এসে উন্নয়ন কার্যক্রমে কিছুটা বাধা দিয়েছে। কিন্তু বসে থাকিনি। অনেক দেশে খাদ্যাভাব। কিন্তু আমাদের দেশে অভাব হয়নি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চলে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, টেলিভিশন দিয়েছি, মোবাইল ফোন দিয়েছি, বিদ্যুৎ দিয়েছি। এত সুবিধা পেয়েও গালিটা আমাকে বা আওয়ামী লীগকেই দিচ্ছে। বাঙালির চরিত্রেই আছে, ভালো করলে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকা। আমরা করলাম কেন?’


বিএনপির প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপিসহ যারা কথা বলে, তারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এই দলের জন্ম কীভাবে? এই দল কি নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে হয়েছে? বা এমন কোনো নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যারা জনগণের মৌলিক চাহিদা নিয়ে সংগ্রাম করেছে? তা তো না। সুবিধাবাদী ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি করা সংগঠন।

২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো অভিযোগ করে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা জিততে পারেনি কেন? তখন প্রশ্ন তোলেনি কেন? এরপর যত নির্বাচন হয়েছে, মানুষ তো ভোট দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে গেলাম, সেই ইভিএম নিয়েও প্রশ্ন। সম্ভাবনা নেই, তাই যেভাবেই হোক সেটাকে বিতর্কিত করা, মানুষের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করা, মানুষের ক্ষতি করা, এটাই তাদের চেষ্টা।’


বিএনপির শাসনামলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এল। তাদের জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, সারা বাংলাদেশে গ্রেনেড হামলায় মানুষের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কেউ বাদ যায়নি বিএনপির অত্যাচার থেকে। পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকেই ভোট দিল। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জনগণ অন্তত এটুকু পেয়েছিল, সরকার মানেই জনগণের সেবক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগ সরকার এসেছিল বলেই এত টেলিভিশন। হাতে হাতে মোবাইল ফোন। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়েও ব্যঙ্গ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও তো হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব-আলোচনায় যোগদান শেষে গত শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি হয়ে দেশে ফেরেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top