ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

লতাপাতা খাচ্ছে গাজাবাসী

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪ ১০:২৩

ছবি: সংগৃহীত


কড়াইয়ে দলা পাকানো বেশ কিছু মণ্ড। সেগুলোকে চ্যাপ্টা করে লুচির আদলে রাখা হয়েছে আরেক পাত্রে। মাটির চুলোয় কড়াইয়ের উলটো পিঠে পোড়া পোড়া করে সেঁকে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ভেঙেও গেছে কিছু কিছু। বন্য লতাপাতায় তৈরি এই পিঙ্গলবর্ণের খাদ্যটি খেয়ে জীবন বাঁচাচ্ছে গাজাবাসী। পশুপাখির খাদ্য শেষ হওয়ার পর ঝোপঝাড়ে পাওয়া এসব পাতা-লতাই এখন তাদের একমাত্র ভরসা।গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা হাজেম সাঈদ আল-নাইজির পরিবার। মার্চের শুরু থেকে পশুখাদ্য খেয়ে কোনোরকম জীবন পার করছিল তারা। কিন্তু এরই মধ্যে চলতি মাসের দুই সপ্তাহ শেষ হয়ে গেছে। এখন উপায় না পেয়ে বন্য লতাপাতাকে খাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে হাজেম সাঈদ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত পশুপাখির খাবারও শেষ হয়ে গেছে। বাজারে এখন আর এটি পাওয়া যাচ্ছে না। আমার স্ত্রী এবং সন্তানরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। খুব অল্প পরিমাণে বন্য লতাপাতা অবশিষ্ট আছে। একসময় এগুলোও হয়তো ফুরিয়ে যাবে।’

৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলার পর থেকে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে গাজাবাসী। রীতিমতো দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে।

ইসরাইলের হামলায় বিধ্বস্ত হয় গাজার বেশির ভাগ বেকারি। এমনকি ত্রাণের খাবারও আটকে দেওয়া হয়। এরপর খাবারের অভাবে মানুষ নিজেদের বহনকারী পশু (ঘোড়া, গাধা) জবাই করে খাওয়া শুরু করে। সেগুলো শেষ হয়ে গেলে পশুপাখির খাদ্যকে পিষ্ট করে রুটির মতো খেতে থাকে অসহায় গাজাবাসী। এবার সব পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবন বাঁচাতে ঘাস, লতাপাতাকেই খাদ্য হিসাবে বেছে নিচ্ছে অসংখ্য পরিবার। বাস্তচ্যুত অনেক বাসিন্দাই এই খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হয়েছে। বাড়িঘর হারা হাজেম সাঈদও একই কারণে পরিবারের জন্য খাদ্যের জোগান দিতে পারছে না।

গত নভেম্বরে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে চলে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন তার ছয় বছর বয়সি ছেলেকে। তার স্ত্রী এবং অন্য সন্তানরা উত্তরাঞ্চলেই রয়ে যায়। যদিও তার স্ত্রী এদিকে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইসরাইলি সেনাদের বাধার মুখে আসতে পারেননি।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top