ঢাকা | মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২

গুদারাঘাট এলাকায় শনিবার সকালে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৪ ১৭:০৭

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর প্রগতি সরণিজুড়ে শনিবারও থমথমে পরিস্থিতি দেখা গেছে। বেলা গড়ালেও নাগরিক চলাচলে স্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। বরং জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।

নতুনবাজার-বাড্ডা-রামপুরার বিভিন্ন গলিতে মানুষজনের জটলা দেখা গেছে। কিন্তু তাদেরকে মূল সড়কে অবস্থান নিতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনেক স্থানে গলিতে গলিতে ঢুকে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়তে দেখা গেছে।

বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিঙ্ক রোডের বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পুলিশকে ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখেছেন বিবিসির সংবাদদাতা। এ সময় সেখানে সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা যায়নি। মূল সড়ক ধরে বিচ্ছিন্নভাবে হেঁটে যাওয়া বেশ কয়েকজন পথচারীকে লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিতে দেখা গেছে।

বেলা ১টার দিকে রাজধানীর নতুনবাজারেও কাছাকাছি চিত্র দেখা গেছে। সেখানে মূল সড়ক ধরে কেউ চলাচলের চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দিতে দেখা গেছে।

আমেরিকান অ্যাম্বেসির দুই প্রান্তে সেনা সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। তবে নির্দিষ্ট অবস্থানে থেকেই তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন তারা।

রামপুরার কিছু স্থানে মূল সড়কেও অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেন, সড়ক পরিষ্কার করে করে আগাতে হচ্ছে। রাস্তা চলাচলের অনুকূলে হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়া সহজ হতো।

স্থানে স্থানে গিয়ে আন্দোলন দমনে পুলিশই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন বলে দাবি করেন তিনি।

জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে বের হওয়া একজন ব্যক্তি বিবিসি বাংলাকে জানান, অবস্থা কবে স্বাভাবিক হবে জানি না।

রামপুরা থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত পায়ে হেঁটে আসার পথে স্থানে স্থানে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট দেখিয়ে ছাড়া পেয়েছি।

গোটা প্রগতি সরণিজুড়ে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের চিহ্ন। জায়গায় জায়গায় পড়ে ছিল ভস্মীভূত যানবাহন, ধাতব সড়ক বিভাজক, বুলেটের খোসা ও ইটের টুকরা। বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা যখন সেই স্থান ত্যাগ করছিলেন তখন সড়কের পাশে বসে মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top