ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

২০ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২২ ১০:১৯

প্রধানমন্ত্রী-ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে।

তিনি বলেন, '২৫ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারব। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।'

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ৩৫ বছরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ খরচের টাকা উঠে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আজ বলেন, 'ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি অনুযায়ী টোল আদায়ের মাধ্যমে ২৫ থেকে ২৬ বছরে খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।  নিজস্ব অর্থায়নের এই খরচের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ১ শতাংশ সুদসহ ২৫ বছরে সরকারকে ফেরত দেবে। আমি মনে করি অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারবো।

তিনি বলেন, 'বর্তমানে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যেভাবে উন্নতি হয়েছে। তাতে এই সেতু আমাদের জন্য অনেক লাভজনক হবে। আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে আমাদের বেশকিছু প্রাপ্তি যুক্ত হবে। এই সেতুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।'

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির কারণগুলো সংসদে তুলে ধরেন। তিনি জানান, সড়ক সেতুর সাথে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির পরিমাণ মূল্য ও পরিমান বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, সেতু নির্মাণের ব্যয় নিয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি চেষ্টা করা হয়েছে। নদী শাসন, পুনর্বাসন, ইউটিলিটি সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সেতুর ১১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যে কোনো বিচারে এই ব্যয় সাশ্রয়ী। সমসাময়িক সময়ে নির্মিত সব সেতুর তুলনায় এই সেতুর ব্যয় অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌক্তিকতার বাইরে কোনো কাজ বা ব্যয় অন্তর্ভূক্তির কোনো সুযোগ ছিল না। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগই ছিল না। 

বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আবার মেরামতের জন্য সহযোগিতা করা হবে।

বাজেট অধিবেশন প্রাণবন্ত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। তাদের ইচ্ছামত তারা কথা বলতে পেরেছে। আর আমাদের যারা অফিশিয়াল বিরোধী দল (জাতীয় পার্টি) তারাও আলোচনা করেছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top