আচরণবিধি লঙ্ঘন: মাহিসহ ৪ জনকে শোকজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:২০

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। একই কারণে রাজশাহী-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক, বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাবলু এবং মেয়র আক্কাছ আলীকে শোকজ করা হয়েছে। পৃথক চিঠিতে শুক্রবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান তাদের শোকজ করেন।
রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু সাইদ স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, প্রতীক বরাদ্দের আগেই মাহিয়া মাহি গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় জনসমাগম করেন এবং জনগণের কাছে ভোট চান, যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।
আরও উল্লেখ করা হয়, এমন অবস্থায় কেন নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তা আগামী ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টার মধ্যে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু সাইদের কার্যালয়ে প্রার্থীকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এ দিকে বৃহস্পতিবার রাতে মাহি তার ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও বার্তায় সাংবাদিকদের জানান, তিনি কোথাও কোনো নির্বাচনী প্রচারণা বা কারও কাছে ভোট চাননি। তিনি দুর্গম চর চরআষাঢ়িয়াদহে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীর দোয়া চাইতে ও তাদের সঙ্গে দেখা করতে।
এর আগে হলফনামার তথ্যে ভুল থাকায় গত ৪ ডিসেম্বর মাহিয়া মাহির প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন রাজশাহী রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে তিনি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পান।
এ দিকে রাজশাহী-৬ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজশাহী সদর সিনিয়র সহকারী জজ মো. সেফাতুল্লাহ স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজশাহী-৬ চারঘাট-বাঘা আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক প্রতীক বরাদ্দের আগে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় বাঘার তেঁথুলিয়া বাজারে দুই শতাধিক কর্মী নিয়ে শোডাউন ও সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী। এ কারণে তাদের দুই জনকেও আলাদাভাবে শোকজ করা হয়েছে। এর মধ্যে আক্কাছ আলী পৌরসভার সরকারি মোটরসাইকেল এবং লায়েব উদ্দিন লাভলু উপজেলা পরিষদের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ রয়েছে। আগামী রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক রায়হান বলেন, ‘এ সংক্রান্তে ধার্য দিনে জবাব আমরা দেব।’
বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, ‘আমি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করিনি। তেঁথুলিয়ার প্রোগ্রামে ছিলাম। মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: