ঢাকা | বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

শমসের–তৈমুরকে ‘জাতীয় বেইমান’ বললেন তৃণমূল বিএনপির অন্য প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪৬

তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন আসনে তৃণমূল থেকে প্রার্থী হওয়া নেতারা। আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনেছ

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার তাঁদের মাঠে নামিয়ে এখন আর খোঁজ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিএনপি থেকে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হওয়া নেতারা। তাঁরা দলের শীর্ষ দুই নেতাকে ‘জাতীয় বেইমান’ আখ্যায়িত করেছেন। শমসের, তৈমুর ও তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা দলের তহবিল থেকে টাকা তছরুপ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

এই পরিস্থিতিতে দলীয় সংকট সমাধান করে নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূল বিএনপি যেন সংসদের বিরোধী দল হতে পারে, সে জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দলটির এই নেতারা। ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপির এই নেতারা আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সভায় এসব কথা বলেন। ‘তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের কো-চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার এবং সভাপতি হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা আসেননি।

সভায় বিভিন্ন আসনে তৃণমূলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দাবি করেছেন, দলের ১৩০ জন প্রার্থী এখন তাঁদের সঙ্গে আছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-১৫ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী খন্দকার এমদাদুল হক ওরফে সেলিম। নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির ১৩৭ জন প্রার্থী আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। আমাদের সুবিধা-অসুবিধা, কীভাবে আমরা নির্বাচন করছি, আমাদের কী প্রয়োজন, সে ব্যাপারে কোনো খোঁজখবর রাখছেন না।’

দলের শীর্ষ দুই নেতা সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী দিলে তৃণমূল বিএনপি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে পারত এবং অন্তত ১০০ আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দল হতে পারত বলে মন্তব্য করেন খন্দকার এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘ওই দুই জাতীয় বেইমানের কারণে এটা হয়নি। তাঁরা তৃণমূল বিএনপির যে অবস্থা করেছেন, তাতে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমরা আমাদের দলের বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।’

 

নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূল বিএনপি যেন সংসদে বিরোধী দল হতে পারে, সে জন্য দলটিতে চলমান সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, আমরা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। বিদেশিদের ও বিএনপির ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমরা জনগণের পাশে থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের অবস্থা কী? শমসের ও তৈমুরের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাঁদের মুখে এক কথা, অন্তরে আরেক কথা। তাঁদের বহিষ্কার করে তৃণমূল বিএনপিতে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে এলে আমরা খুশি হব। ১৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ওই দুজন বাদে সবাই আমাদের সঙ্গে আছেন।’

 

 

 

 

 

 

 

 

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top