ভারতের ৫২৭ খাদ্যপণ্যে বিষ : ব্যাপক উদ্বেগ, বাংলাদেশেও নিষিদ্ধের দাবি
সোশাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০২:৫৪

ভারতীয় খাদ্যদ্রব্য রপ্তানিতে ধস নামার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের ধারণা যেভাবে রপ্তানি করা খাদ্যপণ্যে বিষের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে তাতে অচিরেই এই সব খাদ্যপণ্য বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।ইতোমধ্যে হংকং ও সিঙ্গাপুরে ভারতীয় মশলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ভারতীয় মশলা খেলে মানবদেহে ক্যানসার হতে পারে এমন উপাদান পাওয়া গেছে।
এদিকে ভারতীয় খাদ্যদ্রব্যে ‘ক্যানসারের বিষ’ পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ। তাদের অভিযোগ, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে রফতানি করা অন্তত ৫২৭টি খাদ্যপণ্যে ‘বিষ’ পেয়েছে তারা। এর মধ্যে বেশিভাগই বাদাম, তিল, ভেষজ পদার্থ, মশলা, ডায়েট-ফুড জাতীয় খাদ্যবস্তু। ৮৭টি খাদ্যপণ্যকে সীমান্তেই আটকে দেয়া হয়েছিল। বাকি খাদ্যদ্রব্যগুলো পরে বাজার থেকে সরানো হয়। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়া ৫২৭ পণ্যের মধ্যে ৫২৫টি ভোক্তা খাদ্যপণ্য ও দুটি প্রাণিখাদ্য।
এসব পণ্যের মধ্যে ৩৩২টির একক উৎস ভারত। বাকিগুলোর উৎস হিসেবে ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশের নামও ট্যাগ করা রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনের মধ্যে বিষ থাকার কারণে ভারতীয় খাদ্যদ্রব্য নিষিদ্ধের সংবাদে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সচেতন মহল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ বাংলাদেশে দ্রুত এসব ভারতীয় খাদ্যদ্রব্য নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন।
ফেসবুকে ভারতীয় খাদ্যদ্রব্য নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ম্যাক খান লিখেছেন,.. ভারত পন্য রপ্তানীর মাধ্যমে সারা বিশ্বে ক্যান্সারের বিষ ছড়িয়ে দিয়েছে। যারা খেয়েছে তাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমান বিশ্বের উচিৎ আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করা। এই ক্যান্সার বিষ সারা বিশ্বে মানুষের শাস্তের উপর বিরুপ প্রভাব পরবে।
মোহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন লিখেছেন, ভারতের খাবার জিনিস কিনে আমাদের দেহে রোগ সৃষ্টি করছে অন্য দিকে আবার আমরা ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি দেশ ও জাতির দুই দিকে খতি হচ্ছে। তাই ভারতের পণ্য আমাদের সবাইকে বয়কট করা নীতি নৈতিকতার মধ্যে পড়ে।
মো: মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন, ফরমালিন এর জনক ভারত।রোগের মহাসমুদ্র।এভাবেই মানুষের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার লুট করে নিচ্ছে।
জিয়া হাসান লিখেছেন, পন্য গুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করা জরুরি। তাদের পন্যে তো আমাদের বাজার ছয়লাব দীর্ঘদিন যাবত।
মো: আব্দুল হাই লিখেছেন, আমরা তো ভারতীয় খাদ্য খেয়ে জীবন শেষ করেছি, এখন আরো নতুন নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ক্যান্সার জীবাণু খেয়েছি। তাই ভারতের পণ্য বয়কট করলাম।
আলাউদ্দিন লিখেছেন, ভারত বয়কটের বিরোধিতাকারীরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মুখ দেখাবে কেমনে?
মো: মনিরুল ইসলাম লিখেছেন, খাদ্যে সেই বিষ বাংলাদেশের কিছু লোকের জন্য মধু।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: