ঢাকা | বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটে কর্মী পাঠানো ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২২ ০৯:০১

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী না পাঠাতে অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন সিন্ডিকেট বিরোধী জনশক্তি ব্যবসায়ীরা। বিদেশি কর্মী নিয়োগকারী মালয়েশিয়ার এজেন্সিগুলোও সোমবার এক বিবৃতিতে সিন্ডিকেট বিরোধী অবস্থান জানিয়েছে।

বাংলাদেশে জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি নুর আলী, আবুল বাসার, আবুল বারাকাত ভূঁইয়া, সাবেক মহাসচিব শামীম আহমদ চৌধুরী নোমান, আলী হায়দার চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, সাড়ে তিন বছর বন্ধ থাকার পর প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে গত ডিসেম্বরে দুই দেশের সমঝোতা স্মারক সই হয়। বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের প্যাডে দেওয়া চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ২ জুন দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ সীমিত সংখ্যক এজেন্সির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠাতে রাজি হয়েছে।

বাংলাদেশের দেড় হাজার রিক্রুটিং এজেন্সির ২৫টির মাধ্যমে কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া। এ প্রক্রিয়াকে অস্বচ্ছ বলা হচ্ছে। ২০১৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী, ১০ এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়েছিল দেশটি। এতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে মাহাথির মুহাম্মদ সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে। ২০১৫ সালের ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় ফিরে একই পদ্ধতিতে কর্মী নিতে চাইছে। ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেটে বাংলাদেশের এক মন্ত্রীর স্ত্রী এবং তিন এমপির প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

জনশক্তি ব্যবসায়ীরা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠালে ৯৮ শতাংশ এজেন্সি ব্যবসা করতে পারবে না। কর্মীদের বিদেশ যাওয়ার খরচ বাড়বে। মালয়েশিয়া অন্য ১৩ দেশ থেকে সব এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এজেন্সি বাছাই অগ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা আইন ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। সিন্ডিকেট হলে মালয়েশিয়ার বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে না।

মালয়েশিয়ার এজেন্সিগুলোর সংগঠন (পাপসমা) প্রেসিডেন্ট মেগাত ফাইরোজ জুনাইদি সিন্ডিকেট নয় বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর সুযোগ দিতে তার দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলেছেন, আর ২০১৫ সালে ফিরতে চান না। সে সময়ে বাংলাদেশি কর্মী প্রতি ২০ হাজার রিঙ্গিত (প্রায় সাড়ে চার লাখ) করে বাড়তি নেওয়া হয়েছিল। এজেন্সিগুলো এ টাকার অংশ দুই দেশের ব্যবসায়ী লবিকে ঘুষ দিয়েছিল।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top