ঢাকা | বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

‘ভাগ্য নির্ধারণী’ ভোটে এগিয়ে মমতা

সিটি পোষ্ট | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৩৭

ভোটে এগিয়ে মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী উপনির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ড গণনা শেষে ২,৫০০ ভোটে এগিয়ে আছেন তিনি।

রবিবার সকাল ৮টায় মমতার ভবানীপুর আসনসহ পশ্চিমবঙ্গের মোট তিন বিধানসভা আসনের ভোট গণনা শুরু হয়। বাকি দুটি আসন- জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জ।

তবে সবার নজর হাইভোল্টেজ আসন ভবানীপুরে। এই আসনেই দ্বিতীয়বার ‘পরীক্ষা’য় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রথম রাউন্ড গণনায় বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের চেয়ে ২,৮০০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন মমতা। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্যবধান কিছু কমে। গণনা হবে মোট ২১ রাউন্ড।

 

এছাড়া জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জ আসনেও এগিয়ে আছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের সামান্য বেশি।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।

আনন্দবাজার জানায়, এপ্রিলের নির্বাচনের তুলনায় সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে কিছুটা কম ভোট পড়লেও ভবানীপুরে এর আগের উপনির্বাচনের তুলনায় কিন্তু অনেকটা বেশি ভোট পড়েছে এবার।

গত ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। তাতে ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।

ভবানীপুরে এবার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২ জন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছিল আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসও পেশায় আইনজীবী।

বিধানসভা নির্বাচনে দল জিতলেও নিজ আসনে হেরে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেও নিয়ম অনুযায়ী নতুন কোনো আসনে ছয় মাসের মধ্যে তাকে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ছাড়তে হবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ।

গত মার্চ এবং এপ্রিল মাসে আট দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। ২ মে ফল ঘোষণা করা হয়। মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯২ (প্রার্থীর মৃত্যুতে শমসেরগঞ্জ বা জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি) আসনের মধ্যে ২১৩টিতে জিতে ক্ষমতায় ফেরে।

কিন্তু নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য ভোটে হেরে যান মমতা। পরে ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে তার পরের ছয় মাসের মধ্যে তাকে জিতে আসতে হবে বিধানসভায়। সেই কারণেই ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে লড়ছেন মমতা।

 
 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top