ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

‘পুতিনের সেই ঘোষণার পর পালাচ্ছে তাতার মুসলিমরাও’

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৭

‘পুতিনের সেই ঘোষণার পর পালাচ্ছে তাতার মুসলিমরাও’

ইউক্রেনে যুদ্ধ জোরদার করার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার সামরিক রিজার্ভের আংশিক সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন। পুতিনের সেই ঘোষণার পর থেকেই সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভূক্তির ভয়ে রাশিয়া ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে দেশটির পুরুষরা। 

শুধু রুশ পুরুষরাই নন, তাতার মুসলিম পুরুষরাও রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়া ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট টিভিতে রোববার  ক্রিমিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি তামিল তাশেভা দাবি করেছেন।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। 

এ ব্যাপারে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের স্থায়ী প্রতিনিধি তামিল তাশেভা বলেন, সেনা সমাবেশের যোগ দিতে দখলকৃত ক্রিমিয়ার ভূখণ্ডে বসবাসরত তাতার মুসলিমদের দিকেও নজর আছে রাশিয়ার। এইভাবে রাশিয়া ক্রিমিয়ান তাতারদের বংশ ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। 

তামিল তাশেভা আরও বলেন, ১৯৪৪ সালে নিজেদের ভিটেমাটি ছাড়া হয় তাতাররা। যা এখনো তারা ফিরে পায়নি। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করলেও এখনকার মতো ১৮ বছরের বেশি বয়সী তাতার পুরুষরা তখন পালাতে বাধ্য হয়নি বলেও জানান তিনি।  

তাশেভা বলেন, বর্তমানে হাজার হাজার ক্রিমিয়ান তাতার তাদের পরিবারসহ রাশিয়ার ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে উজবেকিস্তান, কাজাখস্তানের উদ্দেশ্যে ক্রিমিয়া ছেড়ে যাচ্ছে। যেহেতু ক্রিমিয়ান তাতারদের বিদেশি পাসপোর্ট নেই রয়েছে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রাশিয়ান পাসপোর্ট, তাই ক্রিমিয়ান তাতাররা শুধুমাত্র সেইসব দেশে যেতে পারে যেখানে রাশিয়ার নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন নেই।

টেলিভিশন দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাশেভা ক্রিমিয়ানদের যতটা সম্ভব রাশিয়ান বা রুশপন্থী কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া যাদের সেনা সমাবেশে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তাদের ইউক্রেনীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের জন্য সুপারিশও করেন তিনি। 

এ সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্টালিনের রোষানলের কারণে তাতার জনগণের গণ নির্বাসনের কথা উল্লেখ করেন তাশেভা। 

১৯৪৪ সালে প্রায় দুই লাখ ক্রিমিয়ান তাতারকে স্ট্যালিন জোরপূর্বক নির্বাসন দেন। তাতাররা মধ্য এশিয়ায়, বিশেষত উজবেকিস্তানে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন। পথে ক্ষুধা, শীত ও রোগে প্রায় অর্ধেক তাতার মারা যান।  ওই ঘটনাকে ইউক্রেনের সংসদ গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top