ইন্ডাস্ট্রি সচল রাখতে এখন ব্যাক টু ব্যাক কাজ করবো: শাকিব খান
সিটি পোষ্ট | প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২১ ২১:৩৪

'লিডার আমিই বাংলাদেশ’ ছবির শুটিং শেষ করেই 'গলুই' ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা শাকিব খান। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সবাই যখন ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছিলেন ঠিক তখনই আতঙ্ককে তুড়ি মেরে পর পর ছবির শুটিংয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন এ নায়ক। শুটিং ব্যস্ততা ও নানা প্রসঙ্গ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
‘নবাব এলএলবি’, ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’ — তিনটি ছবির শুটিং করেছেন করোনার সময়ে। কিসের তাগিদে ঝুকি নিয়ে ছবিগুলো করা?
করোনার শুরুর দিকে একটা বিষয় উপলব্দি আসে। আমার সিনেমার শুটিং না করে বসে থাকা মানে সিনেমার শত শত লোকের বেকার হয়ে বসে থাকা। আর শুটিং শুরু করা মানে মিনিমাম একশ’ কলাকুশলী কাজ করা, ত্রিশ-চল্লিশ জন শিল্পীর কাজে ফেরা। এই সময়টা কোনো ছবির শুটিং না করলেও হয়তো আমার চলতে সমস্যা হতো না। কিন্তু কয়েকশ’ লোক বেকার বসে থাকতেন। তারা কিভাবে চলতেন? তাদেরও তো পরিবার আছে, পরিবারের খরচ কিভাবে বহন করতেন? স্রষ্টা তো কোনো উসিলায় বা কোনো একজনের মাধ্যমে রিজিকের ব্যবস্থা করেন। আমি কাজে নামলে এতোগুলো লোকের রিজিকের ব্যবস্থা হবে তাহল আমি কেনো বসে থাকবো। তাই ঝুকি নিয়ে হলেও একের পর এক কাজ করে গেছি। এতে সবাই লাভবান হয়েছে। দুই তিন হাজার টাকার সাহায্য নিয়ে চলার চেয়ে তারা কাজ করে সম্মান নিয়ে খেয়ে পড়ে বাঁচতে চায়। সেটা তারা পারছেন।
শুটিংয়ের সময়ে কোনো ধরনের আতঙ্ক কাজ করেনি?
পেন্ডামিকের সময়ে পর পর তিনটি ছবির শুটিং করলাম। এই তিনটি ছবিতে কতজন মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়েছে ভাবুন তো। তাদের মধ্যে কারও না কারো দোয়া তো আমার উপর আছে। এই মানুষগুলোর দোয়ায় আমি কিন্তু এখনও সুস্থ শরীরেই কাজ করে যাচ্ছি। যখন প্রথম শুটিং শুরু করি তখন কিছুটা আতঙ্ক কাজ করতো। ঘরে তো আমারও পরিবার আছে। শুটিং থেকে ফিরে আমারও তো পরিবারের সঙ্গেই থাকতে হয়। তাই যতটা সম্ভব সতর্ক থেকেই শুটিং করেছি। তবে এটা ঠিক কাজ শুরুর পর আতঙ্ক আর কাছে ভিড়তে পারেনি। সবার কাজের দিকেই মনোযোগ থেকেছে।
'লিডার' ছবির শুটিং শেষ করেছেন। ছবিটি কতটা দর্শক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে বলে মনে করছেন?
ছবিটির কাজ ভালো হয়েছে। আমার মনে হয় দর্শকরা হতাশ হবেন না। তারা তাদের মনের মতো একটা ছবি পাবেন বলতে পারি।
'গলুই' ছবির শুটিং শুরু করলেন। ছবিটিতে যুক্ত হওয়া বিশেষ কোনো কারণ আছে?
ছবিটির গল্প সুন্দর। অলিক ভাইও ভালো নির্মাতা। আশা করা যায় ভালো কিছু দাঁড়াবে। এ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রি সচল রাখতে আমি এখন ব্যাক টু ব্যাক কাজ করবো। নির্বাচন দিয়ে না ইন্ডাষ্ট্রিকে শুটিং দিয়ে, সিনেমা দিয়ে বিজি রাখতে হবে। বলিউডের মতো হিসেব করে বছরে একটা ছবি করলে তো ইন্ডাষ্ট্রি আরও মৃত হয়ে পড়বে। আমি চাই এখন মিনিমাম কোলালিটি বজায় রেখে হলেও সিনেমা নির্মাণ হোক। সিনেমার সংখ্যা বাড়ুক। হলগুলোতে পুরোনো সিনেমা চলছে। তারা নতুন সিনেমা চান। নতুন সিনেমা নির্মাণ না হলে হল বলেন আর ওটিটি প্লাটফর্ম বলেন কি চলবে সেখানে?
শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে কিছু ভাবছেন?
এসব সমিতির নির্বাচন নিয়ে ভাবার মানুষের অভাব নেই। আমি আপাতত কিছু ভাবছি না। নির্বাচনে আমার কোনো প্যানেলও থাকছে না। সমিতিকে এতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবারও কোনো মানে দেখছি না। এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সিনেমা। আমার প্রত্যাশা থাকবে সবাই সিনেমার দিকেই মনোযোগি হোক। সিনেমা না থাকলে এসব সমিতি-টমিতি কিছুই থাকবে না।
একটা সময়ে সমিতি ইস্যুতে আপনার বিরুদ্ধে যারা নেতিবাচক মন্তব্য করতেন তারাই এখন আপনার পক্ষে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। কিভাবে নিচ্ছেন বিষয়টিকে?
আমি কোনো ভাবেই নিচ্ছি না। আমি বিশ্বাস করি, আপনি যদি সৎ হোন, যদি সঠিক পথে থাকেন তাহলে সময় আপনার পক্ষে কথা বলবেই। আমি সঠিক পথে ছিলাম, যারা ভুল ছিলো এখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: