সীমান্তে বিজিবিকেও এখন বেঘোরে প্রাণ দিতে হচ্ছে: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩:১০

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এতদিন বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর এখন সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। অন্য দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আরেকটি স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। এটি গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতা লোভের ফলে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশকে আজ তাবেদার রাষ্ট্র বানানো হয়েছে। দখলদার আওয়ামী সরকার আজ দেশবিরোধী ঘৃণ্যচক্রান্তের ক্রীড়নক। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকেও এখন বেঘোরে প্রাণ দিতে হচ্ছে।শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ২১ জানুয়ারি ভোরে যশোর সীমান্তের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্টসংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে। সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে সহিংস ও রক্তস্নাত। ভারত কর্তৃক বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়তই প্রাণহানির সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশকেন্দ্রের হিসাবে ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।সিপাহি মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘তিনি (নিহত ব্যক্তি) বিজিবির সদস্য তা তারা বুঝতেই পারেনি, তিনি লুঙ্গি ও টিশার্ট পরেছিলেন এবং পাচারকারী দলের সঙ্গে তাকে ভারতের সীমানার ভেতরে দেখা গিয়েছিল।
রিজভী প্রশ্ন করেন, একজন বিজিবি সদস্য কীভাবে লুঙ্গি আর টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে মিশে থাকতে পারেন সেটি তাদের বোধগম্য নয়। এই বয়ান শুধু বানোয়াটই নয়, ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের ‘বিগ ব্রাদার’ সুলভ গরিমা থেকে উৎসাহিত হয়ে বিএসএফ তাদের হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। বিএসএফের মন্তব্যের সঙ্গে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ‘মাসুম’ও দ্বিমত পোষণ করেছে।
তিনি বলেন, বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাকে ‘ব্লাড—স্পোর্ট’ বা রক্তক্ষয়ী খেলায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে নতজানু রাখার এটি একটি আধিপত্যবাদী বার্তা। বিএসএফের ‘ডেলিবারেট কিলিং’ এখন সর্বজনবিদিত। নিয়ন্ত্রণহীন এসব হত্যাকাণ্ডের আশকারা দেওয়া দিল্লির উগ্রতা আর ঢাকার নীরবতা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: