ঢাকা | বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

এক হালি লাউ বিক্রি করে মিলছে না একটি ডিম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৪ ০৩:৪১

ফাইল ছবি

রাজশাহীর বাঘায় এক হালি লাউ বিক্রি করে মিলছে না একটি ডিম।  উপজেলার আড়ানী হাটে এক হালি লাউ আট টাকায় বিক্রি করেন গোচর গ্রামের জহুরুল ইসলাম সোনা নামে এক চাষি।  

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এক হালি লাউয়ে পাওয়া যাচ্ছে না একটি মুরগির ডিম। লাউ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। বিক্রি করতে না পেরে আড়ানী হাট থেকে অনেকেই ফেরত নিয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ হাটে ফেলে রেখে চলে গেছেন। 

এমন ঘটনা ঘটেছে শনিবার আড়ানী হাটে। বাজারে একটি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকার ওপরে।

জানা যায়, আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোচর মহল্লার মৃত আমির আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান এক বিঘা জমিতে লাউয়ের আবাদ করেছেন। তার লাউ চাষ করতে সার, বীজ, সেচ, শ্রমিক ও মাচা তৈরিসহ খরচ হয়েছে ৪৮ হাজার টাকা। প্রথমে দিকে তিনি প্রতি পিস লাউ বিক্রি করেছেন ৪০-৪৫ টাকায়। মাঝামাঝি সময়ে বিক্রি করেছেন ২৫-৩৫ টাকা প্রতি পিস। শেষ সময়ে ৫-১০ টাকা বিক্রি করেছেন। কিন্তু শনিবার হাটে কোনো ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি করতে না পেরে ফেরত নিয়ে গেছেন। তিনি শনিবার জমি থেকে ১৬০টি লাউ তুলেছিলেন। লাউ তুলতে লেবার খরচ হয় ১৬০ টাকা। বাড়ি থেকে আড়ানী হাটে নিতে খরচ হয় ১০০ টাকা। বিক্রি করতে না পেরে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যেতে খরচ হয়েছে ১০০ টাকা। তার মোট খরচ হয়ে ৩৬০ টাকা। বাড়িতে টাকা না থাকায় পরে হলুদ বিক্রি করে লেবার ও ভ্যানের খরচ দিয়েছেন।

 

তার মতো অনেকে বাজারে লাউ নিয়ে এসে বিক্রি করতে না পেরে ক্ষোভে লাউ ফেলে চলে গেছেন।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, আমার জমিতে এখনো ৪০০ পিস লাউ ঝুলে আছে। এগুলো না তুললে প্রায় ৪৮ হাজার টাকায় তৈরি মাচা ভেঙে যাবে।

এদিকে গোচর গ্রামের লাউ চাষি জহুরুল ইসলাম সোনা বলেন, আমি খুব সকালে এসে এক ব্যক্তিকে ৬০টি লাউ দিয়েছি। কত টাকা দেবে কিছুই জানি না। জমিতে কিছু লাউ রয়েছে। এগুলো বিক্রি করতে পারছি না। এক হালি লাউয়ে একটি ডিম পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উপজেলায় ৭৮ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ হয়েছে। এ সময় শীত কমে যাওয়ার কারণে লাউয়ের চাহিদা কমে গেছে। তবে এলাকায় প্রচুর পরিমানে লাউয়ের উৎপাদন হয়েছে।

 

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top