অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র
প্রতিষ্ঠানের টাকায়ও নিষিদ্ধ বিদেশ ভ্রমণ
সিটি পোষ্ট | প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২ ১৫:৪৫

শুধু সরকারি চাকরিজীবী নয়, এবার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, আধাসরকারি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিলের অর্থ ব্যয় করে কেউ বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে না। সোমবার এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে অর্থ বিভাগ। মূলত কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকট প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ আদেশ উন্নয়ন ও পরিচালনা বাজেট উভয় ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশ সফরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং কর্মশালা ও সেমিনারসহ সব ধরনের বিদেশ সফর বন্ধ থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈশ্বিক ঝুঁকির প্রভাব মোকাবিলায় অর্থ ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের পথে হাঁটছে সরকার। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত, আধাসরকারি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ সফর স্থগিত করেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের আয় ও ব্যয়ের অবস্থা নাজুক পর্যায়ে। ফলে অর্থ ব্যয়ে রক্ষণশীলতার মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
মূলত ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর আমদানি খাতে ব্যয় বেড়ে গেছে। অপরদিকে রেমিট্যান্স প্রভাবে ঘাটতি চলছে। ফলে বহির্বাণিজ্যে বাংলাদেশের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে। এতে চাপ পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। বেড়ে যাচ্ছে ডলারের দামও। ফলে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহারে আরও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সরকার।
সূত্র জানায়, চলতি বাজেটে ২১৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে ভ্রমণ খাতে। বৈদেশিক মুদ্রায় ২৩ কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমান ভ্রমণ ব্যয়ের ৫০ শতাংশ খরচ করতে পারবে এমন একটি বিধান রয়েছে। কিন্তু অর্থ বিভাগের জারি পরিপত্রে সব ধরনের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমবে। অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ঢালাও বিদেশ ভ্রমণ শুরু হয়েছিল। বৈশ্বিক ঝুঁকি মোকাবিলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: