ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
সংলাপের প্রথম দিন

তিন মন্ত্রণালয় ইসির হাতে রাখার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২২ ১৬:৪৬

তিন মন্ত্রণালয় ইসির হাতে রাখার প্রস্তাব

বিদ্যমান ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে অংশ নেওয়া তিন রাজনৈতিক দল। দলগুলো হচ্ছে-জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ ও বাংলাদেশ কংগ্রেস। দলগুলোর নেতারা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে রাখার প্রস্তাব করেছেন। দুটি দল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে পেপার অডিট ট্রেইল যুক্তের প্রস্তাবও দিয়েছে।

জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তাদের জানিয়েছেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, পক্ষপাতিত্ব বা কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নের মানসিকতা এখনো আমাদের ভেতরে জন্ম নেয়নি। প্রয়োজনে দায়িত্ব ছাড়ার মানসিকতা আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সমঝোতারও আহবান জানান।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গতকাল সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম দিনের পৃথক সংলাপে অংশ নিয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ ও বাংলাদেশ কংগ্রেস। অপর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিগ লীগ-বিএমএল সংলাপে অংশ নেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এতে উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ৯ সদস্য, বিএনএফ’র প্রেসিডেন্ট এসএম আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কাজী রেজাউল হোসেনের নেতৃত্বে দলের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি অংশ নেন। প্রতিটি দলের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এ সংলাপ চলে। আজ বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম দল হিসাবে সংলাপে অংশ নিয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, গত দুই নির্বাচন আমাদের আশাহত করেছে। তিনি বলেন, বিগত কয়েকটি ভোটে আমরা দেখেছি সরকারি দল ছাড়া অন্য দলের এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না। এই বিষয়ে প্রায় প্রতিটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। স্থায়ী সমাধানের জন্য পোলিং এজেন্ট নিয়োগের ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। নির্বাচনের সময় জনপ্রশাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। দলের যুগ্ম-মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, নির্বাচনকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘সুপার প্রাইম মিনিস্টার’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জনপ্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে প্রয়োজনীয় অনুশাসন দেবেন। তফশিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের গোপন তালিকা থেকে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব নতুনভাবে নিয়োগ করতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি করতে হবে।

বিএনএফ’র প্রেসিডেন্ট এসএম আবুল কালাম আজাদ, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের পদক্ষেপ নিতে ইসির প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। কেউ যেন জনগণের অধিকার হরণ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি ইভিএমে পেপার অডিট ট্রেইল যুক্তের প্রস্তাব করেন। তার দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, কেউ আসুক বা না আসুক আমরা নির্বাচন করব সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন কোনো দলের অধীনে হবে না, নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।

তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হবে আমাদের অধীনে। সরকার চাইলে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করতে পারে, এটা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহায়তা করার কথা বলা আছে।

সংলাপে তৃতীয় দল হিসাবে বাংলাদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, নির্বাচনে দলীয় প্রভাব থাকে। এতে সুন্দর, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না। নির্বাচনে আইনবিধি ভঙ্গ হয়, ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আমরা আশা করি, আপনারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করবেন। একাধিক দিনে নির্বাচনের বিষয়ে দলটির অবস্থান সিইসি জানতে চাইলে কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, একাধিক দিনে ভোটগ্রহণ করা হলে এক এলাকার মানুষ আরেক এলাকায় গিয়ে ভোটে প্রভাব ফেলবে। একইদিনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সক্রিয়ভাবে মোতায়েন করতে হবে। সেনাবাহিনীর ওপর মানুষের আস্থা আছে। সেনাবাহিনী টহল দিলে মানুষ এখনো ভয় পায়। সংলাপে দলটির একজন নেতা বলেন, সাংবিধানিকভাবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। মন্ত্রীরা পুলিশ প্রটেকশন নিয়ে ভোটের মাঠে যান। অপরদিকে অন্য প্রার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।

সংলাপে তিন রাজনৈতিক দল যেসব সুপরিশ করেছে-

একাধিক দিনে ভোটগ্রহণসহ ১৩ প্রস্তাব এনডিএমের : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাধিক দিনে ভোটগ্রহণ, নির্বাহী বিভাগ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়াসহ তিন ধাপে ১৩টি প্রস্তাব করেছে এনডিএম। ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি’, ‘নির্বাচনি আইন ও বিধিমালা সংস্কার’ ও ‘নির্বাচনকালীন সময়’- এই তিন শিরোনামে এসব প্রস্তাব করে দলটি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-১. রাজনৈতিক দলগুলো মিছিল-মিটিংসহ অবাধ রাজনৈতিক চর্চা করতে পারছে কিনা-সেই বিষয়ে তদারকি করা এবং এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা। ২. একাধিক দিনে ভোটগ্রহণ করা। ৩. নির্বাহী বিভাগ থেকে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ না করা। ৪. নির্বাচনের সময়ে গণমাধ্যমবিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন করা। ৫. নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা। ৬. নির্বাচনি বিরোধ নিষ্পত্তিতে জেলা পর্যায়ে শক্তিশালী নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। ৭. নির্বাচনের সময়ে নির্বাচন কমিশনার সুপার প্রাইম মিনিস্টারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জনপ্রশাসনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। ৮. ইভিএম ব্যবহারে পেপার অডিট ট্রেইল সংযুক্ত করতে হবে। ৯. ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগ বাতিল করা। ১০. নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার বন্ধ করা। ১১. বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া। ১২. নির্বাচনি প্রচারের সময়ে সব বিভাগে প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা এবং ১৩. নির্বাচনি ব্যয়সীমা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

১৬ প্রস্তাব বাংলাদেশ কংগ্রেসের : নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে রাখাসহ ১৬ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। সুপারিশগুলো হচ্ছে-১. ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান সংক্রান্ত কাজ ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করবে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরবরাহ করা তথ্যানুসারে জাতীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। ২. সব ধরনের নির্বাচন পরিচালিত হতে হবে নির্বাচন কমিশনের দ্বারা এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে বাধ্য থাকবে। ৩. সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। ৪ পৃথক আইন দিয়ে নির্বাচন কমিশন জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল নিবন্ধন দেবে এবং কারণ সাপেক্ষে নিবন্ধন বাতিল করবে। ৫. জাতীয় বাজেটের ০.০২ শতাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান হারে বরাদ্দ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো ওই অর্থ সমাজ কল্যাণমূলক কাজ ও দল পরিচালনায় ব্যয় করবে। বছর শেষে হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেবে। ৬. নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা অনুসারে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে হবে। ৭. প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মুদ্রণ ফি নিয়ে নির্বাচন কমিশন সব প্রার্থীর নাম ও ছবি সংবলিত পোস্টার ছাপাবে এবং তা প্রার্থীদের মাঝে সমহারে বণ্টন করবে। প্রার্থীরা ওই পোস্টার প্রদর্শন করবেন। ৮. নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য ভোটকেন্দ্রে একটি অস্থায়ী মনিটরিং কমিটি রাখতে হবে। ৯. জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসির কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। ১০. নির্বাচনের দিন নির্বাচনি এলাকায় বিশেষ ছুটি ঘোষণা করতে হবে। ভোট চলাকালে দলীয় ক্যাম্প স্থাপন ও পরিচালনা, ভোটারবাহী পরিবহণ ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করতে হবে। ১১. ইভিএমে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে। এ মেশিনে ভোট দেওয়ার পর প্রতীকসহ মুদ্রিত টোকেন (পেপার অডিট টেইল) পদ্ধতি চালু করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ভোটার টোকেনের কপি নির্দিষ্ট বক্সে ফেলবেন যাতে পরবর্তীকালে ফলাফলের সঙ্গে মেলানো যায়। ১২. নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা কার্যকর থাকবে না। ওই সময়ে যে সরকার থাকবে তা ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ হিসাবে গণ্য হবে। ওই সরকারের স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রপতির পরামর্শক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক পরিচালিত হবে। ১৩. যে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ সুযোগ দিতে হবে। ১৪. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও দলের সদস্যদের যে কোনো বেআইনি ও অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে ‘পলিটিক্যাল ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘পলিটিক্যাল আপিলেট ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করতে হবে। ১৫. নির্বাচন কমিশনের অধীনে ‘লিডারশিপ ইনস্টিটিউট’ চালু করে সেখানে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ওই প্রতিষ্ঠানের সনদপত্র থাকতে হবে। ১৬. সম্পর্ক উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রতিবছর বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করবে।

গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিশ্চিত-বিএনএফ : সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনএফ’র প্রেসিডেন্ট এসএম আবুল কালাম আজাদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা ও সংসদে শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমন অবস্থায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না। অপরদিকে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে যেসব দল ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে তাদের প্রতি আওয়ামী লীগ আন্তঃদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুসরণে পিছিয়ে আছে।

লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা বলে, নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকার প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এমন অবস্থায় অতীতের সব সন্দেহ-অবিশ্বাস মুক্ত হয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top