ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

‘মিডিয়া ক্যু ছাড়া আগামী নির্বাচনে আ.লীগের জয়ের সম্ভাবনাই নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২ ০৬:০৬

‘মিডিয়া ক্যু ছাড়া আগামী নির্বাচনে আ.লীগের জয়ের সম্ভাবনাই নেই’

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সবাইকেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন। আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও গতকাল ইসির সংলাপে যায়নি বিএনপি। এবার ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিচ্ছে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। বৃহস্পতিবার দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৪ জুলাই ইসির সঙ্গে এ দলটির সংলাপ হওয়ার কথা ছিল। 

উত্তরায় নিজের বাসায় স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এ সময় আরও বক্তব্য দেন- দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব এবং কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকের প্রস্তাবে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের বাস্তবতায় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে দলীয় সরকার তার অধীন ও অধীনস্থ করে ফেলে। তাই প্রবল ক্ষমতাতন্ত্রের বিপরীতে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা বা আন্তরিকতা দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। বর্তমান সরকারের কাছে নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখার উপায়। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এই সরকার ছাড়া অন্য কারো জন্য প্রয়োজন নয়।’

‘বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক চেতনা, বিবেক ও সত্য বিসর্জন দিয়ে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিজ্ঞায় অন্ধ ও নেশাচ্ছন্ন। নির্বাচন মানেই সরকারের অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার নামান্তর। এবারো দলীয় সরকার বহাল থাকলে প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও সরকার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করবে। সংবিধান বহির্ভূত অবৈধ ও বেআইনি কাজে দেশ এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।’

বৈঠকে আরও বলা হয়, ‘ক্ষমতালোভী সরকার এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতার অপব্যবহার করবে। নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির প্রয়োগ বা কারচুপি, ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা মিডিয়া ক্যু ছাড়া সরকারি দলের জয়লাভের কোনো সম্ভাবনাই নেই। ফলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকার অনিচ্ছুক। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশন সরকারের পাতানো দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করলে- তা হবে দেশের জন্য চরম আত্মঘাতী পদক্ষেপ। তাই নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভার কোনো মতামত বা অভিমত বিদ্যমান অবস্থায় নির্বাচনী ব্যবস্থায় কার্যকর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by DATA Envelope
Top