শেরপুরে ৫০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানির নিচে
সিটি পোষ্ট | প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২ ০৫:০৩

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার কমপক্ষে ৫০ গ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। উজানের পানি কমে ভাটিতে নেমে ঢলের পানি বাড়িঘরে প্রবেশ করায় এবং অনেক গ্রামীন রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে বানভাসী মানুষ।
অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরে পানি উঠেছে এবং অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এখন অধিকাংশ স্থানের মাঠে তেমন ফসল নেই। তবে কিছু কিছু স্থানে সদ্য রোপণকৃত আউশ ও সবজি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি দ্রুত সরে গেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
বৃষ্টি না হলে সীমান্তবর্তী এই দুইটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে। তবে অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে শনিবার ওই চারটি পাহাড়ি নদীর পানি অনেক কমে গেছে।
এদিকে সময় মতো পানি সরে যেতে না পারায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলার রামের কুড়া গ্রামের ৬ পরিবারের শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ ২৬ জন সদস্য। খবর পেয়ে শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন।
এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে চেল্লাখালী নদীর উপর নির্মিত পলাশীকুড়া ও আমবাগান বেকিকুড়া এলাকার টানা স্টীলের মিনি ব্রিজ ভেঙে গেছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল, বাঘবের, কলসপাড়, যোগানিয়া ও মরিচপুরান ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শনিবার জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: